রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় ট্রাকচাপায় স্থানীয় মাহমুদ ডেনিমস কারখানার নিরাপত্তাকর্মী আজাদুল ইসলাম(৪৫) নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার ২২শে জানুয়ারি ২০২৩ইং সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় দূর্ঘটনায় আরও তিন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
পরবর্তীতে দূর্ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির সহকর্মী শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন এবং অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
দূর্ঘটনায় নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম আজাদুল হক(৪০)। তিনি গাইবান্ধার গবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের আরব আলীর ছেলে। আজাদুল হক চন্দ্রা এলাকার মাহমুদ জিনস নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তাকর্মী হিসপবে কর্মরত ছিলেন।
ওই কারখানার শ্রমিক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- আজ সকালে আজাদুলসহ কয়েকজন শ্রমিক একসঙ্গে কারখানায় যাচ্ছিলেন। সকাল ৮টার দিকে চন্দ্রা এলাকায় দ্রুতগতির একটি ট্রাক আজাদুল’সহ কয়েকজন শ্রমিককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আজাদুলের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আরও তিন শ্রমিক আহত হন। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় লোকজন আজাদুলকে উদ্ধার করে শহীদ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
দুর্ঘটনার পর শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে দূর্ঘটনা কবলিত ওই ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেন এবং মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় শ্রমিকদের একাংশ মহাসড়কে যানজটে আটকে থাকা অর্ধশতাধিক যানবাহনে ভাংচুর চালান। দূর্ঘটনার পর থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। এতে মহাসড়কের দুই দিকে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।
কারখানার শ্রমিক আঃ হান্নান ও সাইফুল ইসলাম বলেন- সড়কের বিভিন্ন স্থানে পদচারী-সেতু নির্মাণ করা হলেও তাদের কারখানার সামনে বা এর আশপাশে কোনো পদচারী-সেতু নেই। সেখানে পদচারী-সেতু থাকলে এই দূর্ঘটনা ঘটত না। তাই তাঁরা দ্রুত ওই পদচারী-সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানান।ঘটনাস্থলে রয়েছেন কোনাবাড়ি হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা।
এ বিষয়ে কোনাবাড়ি হাইওয়ে পুলিশের ইনস্পেকটর (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গাজীপুর জেলা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে দূর্ঘটনার পর ওই ট্রাকের চালক কৌশলে পালিয়ে গেছেন। ক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা ওই ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজনের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। দূর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এই রিপোর্ট লিখায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।